খন্দকার সোহেল রানা সৈকত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে ট্রাকচাপা দেওয়া সেই চালকের পরিচয় জানা গেছে।
চালকের নাম মো. মুজিবুর রহমান (৪০)। সে ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানার বৈলর গ্রামের মৃত হামেদ আলীর ছেলে। বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাতে চট্রগ্রামের লোহাগাড়া থানা পুলিশ তাকে আটক করার পর তার পরিচয় জানা যায়। এ সময় তার হেলপারকেও আটক করা হয়।
এর আগে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটে। লোহাগাড়া থানার দায়িত্বরত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আলিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে একটি আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।
জানা গেছে, বুধবার অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত শেষে ফেরার পথে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এর আগে আজ দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের টাইগারপাস মোড়ে চট্টগ্রামে আইনজীবী আলিফ হত্যার প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে বক্তব্য দেন হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম।
সমাবেশে ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে আইনজীবী আলিফ নিহতের ঘটনায় জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানান তারা।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমার ভাই সাইফুলকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই ইসকনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে অবশ্যই নিষিদ্ধ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ইসকন কীভাবে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের সহায়তায় ভারতের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশে অশান্তি সৃষ্টি করছে তা আমরা ভুলে যাইনি। ধর্মের দোহাই দিয়ে উগ্রবাদী সংগঠন পরিচালনা করলে বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য তাদেরকে এক হাত জায়গাও দেওয়া হবে না।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকেলে সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইসকন থেকে বহিস্কৃত চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভরতদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় নিহত হন আইনজীবী আলিফ। এছাড়াও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এই বিচ্ছিন্ন ঘটনায় উভয় পক্ষকে নিবৃত করতে পুলিশের ১২ জন সদস্য আহত হয়েছেন।